Biproteep Prokashona
Bengal's First Detailed Census: In Three Volumes
Bengal's First Detailed Census: In Three Volumes
Couldn't load pickup availability
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন শেষ হওয়ার পর ভারত সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। বিশাল এই উপমহাদেশকে টেকসইভাবে শাসন ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ছিল এখানকার সমাজ, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিকে গভীরভাবে বোঝা। এই উদ্দেশ্যে, ব্রিটিশরা বিভিন্ন খাতে পরিকল্পনা করতে চেয়েছিল, যা ছিল তাদের শাসন ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান অঙ্গ। তবে, ভারতবাসীর জীবনচিত্র জানাই ছিল অত্যন্ত জরুরি, যাতে প্রশাসনিক, আইনগত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সেক্টরগুলো উন্নত করা যেতে পারে।
এ লক্ষ্যে ১৮৭২ সালে প্রথম ইন্ডিয়ান সেনসাস পরিচালিত হয়, যা ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। এটি শুধুমাত্র সাধারণ কিছু তথ্য সংগ্রহের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, ১৯০১ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ সেনসাস পরিচালিত হয়, যা ছিল আরও বিস্তৃত ও বিস্তারিত। এর মধ্যে বাংলার জনসংখ্যা, রাজনীতি, ইতিহাস, লিঙ্গ, ভাষা, জনমিতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ধর্ম, বর্ণ (Caste), স্থানান্তর (Migration) সহ সামাজিক জীবনের প্রতিটি দিকই অন্তর্ভুক্ত ছিল। সর্ববৃহৎ প্রদেশ এবং কেন্দ্রীয় প্রদেশ হিসেবে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রতিবেদন তিন খণ্ডে প্রকাশিত হয়, এবং এই প্রতিবেদনে স্যার ই এস গেইট বেঙ্গলের প্রতিটি জেলার, থানার, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
বেঙ্গল সেনসাস ১৯০১-এর প্রকাশিত পরিসংখ্যান শুধুমাত্র ব্রিটিশ শাসকদের জন্যই ছিল গুরুত্বপূর্ণ, বরং এই তথ্যসমূহের মাধ্যমে বাংলার সমাজের গঠন, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং জনগণের জীবনযাত্রা সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা পাওয়া যায়। এটি ভবিষ্যতে ভারতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
২০২৫ সালের আজকের বাংলার দীর্ঘ যাত্রার পেছনে, কেন আমরা আজকের সমাজ গড়ে তুলেছি তার শেকড় প্রোথিত রয়েছে ১৯-২০ শতকের এই সামাজিক ইতিহাসে। যদি আমরা আমাদের বর্তমান সমাজ এবং সংস্কৃতির গভীরে যেতে চাই, তবে এই বেঙ্গল সেনসাস ১৯০১-এ ফিরে তাকানো অপরিহার্য, যা আমাদের বাঙালি সমাজের শেকড় উপলব্ধি করতে সহায়তা করবে।
Share
